রেজি : ডিএ ৫১৭ ॥ ৬৩ বর্ষ : ৫ম সংখ্যা ॥ ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ॥ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী ॥ ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম : আধুনিকায়ন ও স্বাধীনতা

॥ প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ ॥
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ, মানবাধিকার সংরক্ষণসহ গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য সংবাদপত্রের পথচলা। বাংলা সাংবাদিকতার যাত্রা শুরু হয় ১৮১৮ সালে বেঙ্গল গেজেট, দিকদর্শন ও সমাচার দর্পণ পত্রিকা প্রকাশের মধ্য দিয়ে। বিশ শতকের শুরুতে সাংবাদিকতা পেশার বিস্তৃতি ঘটে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগ এবং পূর্ববাংলার রাজধানী হিসেবে ঢাকার উত্থান সাংবাদিকতা বিস্তারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে মোগল শাসনামলেও মধ্যযুগীয় ভারতে সংবাদপত্রের প্রচলন ছিল। অবশ্য তখন সংবাদপত্র মুদ্রিত হতো না, সকল রাজনৈতিক বিষয়ক সংবাদ হাতে লেখা হতো এবং তা দেশের প্রধান প্রধান রাজকর্মচারীর নিকট প্রেরিত হতো। আবুল ফজল আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে লিখেছেন, সম্রাট আকবরের সময় প্রতি মাসে গভর্নমেন্ট গেজেটের মতো রাজকীয় সমাচারপত্র প্রচলিত ছিল। বাদশাহ শাহজাহান আগ্রার দরবারে বলেছিলেন, ‘এলাহাবাদের হিন্দু রাজাদের বিদ্রোহের কথা সমাচারপত্র পাঠ করে বিস্মিত ও বিষাদিত হলাম।’ সম্রাট আওরঙ্গজেবের অসুস্থতা ও ইন্তেকালে বিবরণও দিল্লির পয়গম-এ-হিন্দ্ নামক ফারসি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল।  সমাচার দর্পণ প্রকাশের মধ্য দিয়ে বাংলা পত্রিকা প্রকাশের যে সূচনা হয়েছিল, তা ক্রমেই বিকশিত হতে থাকে। ১৮৪৭ সালে পূর্ববাংলার প্রথম পত্রিকা ‘রংপুর বার্তাবহ’ প্রকাশিত হয়। ১৮৬১ সালে ঢাকার প্রথম বাংলা সংবাদপত্র ‘ঢাকা’ প্রকাশ হয় বাবুবাজারের ‘বাঙ্গালা ....বিস্তারিত

আল্লামা ইকবাল পুনর্পাঠ

॥ প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ মাসুম ॥
এ উপমহাদেশের ইসলামী জাগরণের অগ্রদূত, মুসলিম জাতিসত্তার রূপকার ও মহান মনীষার ধারক কবি-দার্শনিক আল্লামা ইকবাল ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। মুসলিম বিশ্বের এক দুঃসময়ে চিন্তার পুনর্গঠন ও মুসলমানদের জন্য একটি স্বাধীন-স্বতন্ত্র রাষ্ট্র নির্মাণে তিনি অনিবার্য় অনুঘটক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মূলত কবি, শিক্ষাবিদ, আইনবিদ এবং অবশেষে রাজনৈতিক দার্শনিক। আর সকলের মতো তিনি সর্বভারতীয় জাতীয়তাবাদের আলোকে তার জীবন শুরু করেছিলেন। লিখেছিলেন ‘তারানা ই হিন্দ’। সেটি আজ ভারতের সমর-সংগীত। ভারতের প্রতি ইঞ্চি মাটি ছিল তার কাছে পরম পবিত্র। ১৯০৫ থেকে ১৯০৮ সালে ইউরোপে জাতিরাষ্ট্রের স্বরূপ অন্বেষণের পর জাতীয়তাবাদ তথা সর্বভারতীয় জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে তার চিন্তার পরিবর্তন ঘটে। ইকবাল আধুনিক সভ্যতার তথা ইউরোপীয় জাতিসত্তার দ্বৈধতা বৈপরীত্য অনুভব করেন। পশ্চিমা ইতিহাসের মাত্রায় ধর্ম কীভাবে ধর্মহীনতার ভিত রচনা করে তা অনুধাবন করার অভিজ্ঞান লাভ করেন তিনি। যথার্থ মুক্তির সন্ধানে তিনি মার্কসবাদ ও লেলিনবাদ অধ্যয়ন করেন। বহুল নন্দিত লেলিন কবিতায় পরলোকগত এ বলশেভিকের জবানীতে তিনি বলছেন, ‘স্থাপত্য চাও তো দেখো ব্যাংকগুলোর দিকে/ধনিকের সৌধগুলো চার্চের চেয়ে ঝকঝকে পরিচ্ছন্ন/ বাণিজ্য-নিশ্চয় আছে, বস্তুত সেটা জুয়ার খেলা। একজনের লাভে হাজার জনের মৃত্যু।’ (ফাহমিদ-উর-রহমান:২০১০:৬৪)। পাশ্চাত্যের পুঁজিবাদ এবং সোভিয়েত সমাজতন্ত্রবাদ উভয়েরই অবাস্তবতা, ....বিস্তারিত

দেশের কল্যাণে দেশের পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার অপরিহার্য

॥ একেএম রফিকুন্নবী ॥
আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের জন্মের সময় জনসংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৭ কোটি। বর্তমানে প্রায় ১৮ কোটি। দেশের মাটি, পানি, ফসল উৎপাদনে উপযোগী। জলবায়ু না গরম না ঠাণ্ডা। বলা যায়, নাতিশীতোষ্ণ। বসবাস এবং চলাচলের জন্য সড়ক, নদী ও আকাশপথে সহজেই একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে যাওয়া যায়। বর্তমানে সড়কপথের উন্নয়নের কারণে রাজধানী থেকে দেশের যেকোনো প্রান্তে ৪-৫ ঘণ্টায় সহজেই পৌঁছা যায়। পণ্যসামগ্রী পরিবহন করা যায়, দেশ থেকে দেশান্তরে আমদানি-রফতানিযোগ্য পণ্য সহজেই বহন করা যায়। সড়ক, পানি, রেলপথ; এমনকি প্রয়োজনে আকাশপথেও।
তাই আমাদের আলোচ্য বিষয় দেশের কল্যাণে দেশের পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার অপরিহার্য। আমরা যদি আমাদের উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী ব্যবহার করে চলতে চাই, তবে উৎপাদন বাড়াতে হবে। বাড়াতে হবে খাদ্যদ্রব্য, পোশাক-পরিচ্ছদ, শিক্ষা উপকরণ, সেবা উপকরণ, ভোজ্যতেল, ফলফলাদি, কসমেটিক্সসহ নানা ব্যবহারযোগ্য পণ্য।
প্রথমেই আসি খাদ্যদ্রব্য অর্থাৎ চাল, ডাল, গম, যব, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মরিচসহ মসলাসামগ্রী। গোটা দেশ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, রংপুর, দিনাজপুর, বৃহত্তর ময়মনসিংহ, সিলেটের হাওর অঞ্চলসহ খাদ্যভাণ্ডার অঞ্চলে আমাদের কৃষি বিভাগ তৎপর হয়ে যেখানে যে ফসল ভালো হয়, আরো ভালো করার জন্য সময়োপযোগী পরামর্শ, সারের সরবরাহসহ সব কাজের ভালো-মন্দের খবর আগ থেকেই সমাবেশ করে, প্রচারপত্র ছেড়ে, প্রচারযন্ত্র ব্যবহার করে, দেশের রেডিও-টেলিভিশন ও পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ....বিস্তারিত

আল্লাহর বিশেষ দুটি নিয়ামত

॥ জাফর আহমাদ ॥
আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামতের মধ্যে আমরা ডুবে আছি। তাঁর দেয়া প্রতিটি নিয়ামতই যথাস্থানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ অসংখ্য নিয়ামতরাজির মধ্যে দুটি নিয়ামত এমন, যার কৃতজ্ঞতা আদায় করে শেষ করা যাবে না। নিয়ামত দুটি হচ্ছে- এক. আমাদের হিদায়াতের জন্য আল-কুরআন। দুই. পথপ্রদর্শনের জন্য একজন নবী দিয়েছেন, যাঁর নাম মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা.। দুটি নিয়ামতকে আল্লাহ তায়ালা ‘আজিম’ অর্থাৎ মহান বলে উল্লেখ করেছেন।
প্রথম নিয়ামত আল-কুরআন: আল-কুরআন আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে সর্বশেষ বিশ্বমানবতার একমাত্র মুক্তির সনদ। এ মহাগ্রন্থ ছাড়া মানুষের মুক্তির চিন্তা করা একটি বাস্তবতাকে উপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছুই নয়। বর্তমান এ বিপর্যস্ত পৃথিবীটাই এর প্রধান সাক্ষী। পৃথিবীজুড়ে মানবরচিত বা মানুষের মস্তিষ্ক তৈরি আইন ও কানুন দিয়ে শান্তি আনয়নের চেষ্টা সাধনা করা হচ্ছে। কিন্তু শান্তি তো দূরের কথা, বরং মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। আমরা অবশ্যই এ কথা স্বীকার করতে বাধ্য হব যে, আল্লাহ আমাদের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা। এর পাশাপাশি অবশ্যই আমাদের এ কথাটিও স্বীকার করতে হবে যে, সেই সৃষ্টিকর্তাই একমাত্র জানেন, কীসে মানুষের শান্তি এবং কীসে অশান্তি।
আল্লাহর সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে কুরআনই একমাত্র সঠিক ও নির্ভুল গাইড। দৈনন্দিন জীবনে কুরআনই আমাদের শক্তিশালী মিত্র। শয়তানের বিরুদ্ধে এবং কুরআনের পথের সংগ্রামে এ কিতাব আমাদের শক্তি ....বিস্তারিত

হাসিও না পুষ্পের হাসি

॥ মনসুর আহমদ ॥
নারীর সবচেয়ে বড় সম্পদ তার সতীত্ব (Chastity)। এজন্য নারী জীবন দিতে যতটুকু ভয় না পায়, তার চেয়ে অধিক ভয় পায় সতীত্ব হারানোকে। কিন্তু আজ এ অমানবিক অশ্লীল কাজটির মহোৎসব চলছে বিশ্বময়। এফবিআই ইউনিফরম রিপোর্টার্সে ১৯৮১ সালে প্রকাশ হয়েছে আমেরিকায় এক বছরে নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৮১ হাজার ৫৩৬টি। এফবিআই-এর মতে এ তথ্যই পরিপূর্ণ নয়। বরং ধর্ষণের অপ্রকাশিত সংখ্যা হবে কমপক্ষে এর দশগুণ।
১৯৯২ সালের ২৪ এপ্রিল রয়টার্স পরিবেশিত সংবাদ-এ প্রকাশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৯শত মহিলা ধর্ষণের শিকার হয়, ১৯৯৪ সালে ২ লাখ ৭ হাজার ৬১০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ১৯৯৩ সালে আমেরিকায় দেড় লাখের বেশি নারী ধর্ষণের শিকার হয়, ১৯৯৪ সালের ২৫ জুলাই ইউএসআই -এর পরিবেশিত খবরে প্রকাশ, এ আমেরিকায় পায় সেকেন্ডে একজন মহিলা ধর্ষিত হয়।
ইতালিতে প্রতি ঘণ্টায় একজন মেয়ে তার সতীত্ব হারাচ্ছে। ১৯৯৫ সালে ফ্রান্সে গঠিত মেডিকেল বোর্ড ঘোষণা করছে যে, সে দেশে একজনও সতী নারী নেই। Review Burean of Police Research and Development থেকে পাওয়া এক তথ্যে জানা যায়, ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত এ দশ বছরে সেখানে নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে যথাক্রমে ৩৮৯৩, ৬২০৩, ৪০৫৮, ৪৫৫৮, ৪৩০০, ৫০২৩, ৫৪০১, ৫৪২৭, ৫২৯৮, ৬২০৩, ৬৩৫৬টি।
ব্রিটেনের অবস্থাও এমন। বিলেতের নাইনটিন নামীয় একটি ম্যাগাজিনে ১৯৮০ সালে ১০ হাজার বিলাতি মেয়ের ওপর জরিপ চাালিয়ে বড়ই দুঃখের সাথে বলছে, এ সমাজে কুমারী কনে ....বিস্তারিত

ইসলামী দাওয়াতের সংজ্ঞা ও পদ্ধতি

॥ শাহ্ আব্দুল হান্নান ॥
দাওয়াত অর্থ আহ্বান করা। ইসলামী দাওয়াত অর্থ ইসলামের দিকে আহ্বান করা। ইসলামের অগ্রগতির জন্য দাওয়াত অপরিহার্য। কেবল অগ্রগতি নয়, ইসলামী সমাজকে তার ভিত্তির ওপর সঠিকভাবে টিকিয়ে রাখার জন্য ইসলামী দাওয়াত জরুরি।
তিনটি কাজ ইসলামী সমাজ গঠনের জন্য অত্যন্ত জরুরিÑ একটি হচ্ছে পড়া। সমাজে অনেক যোগ্য লোকের দরকার। যাদের পড়াশোনার মান ভালো। দ্বিতীয়ত, যোগ্য লোকদের লিখতে হবে। কারণ সমাজ গঠনের জন্য লেখার অনেক প্রয়োজন। লেখার মাধ্যমে সমাজের লোকদের তৈরি করা যায়। তৃতীয়ত, হচ্ছে দাওয়াত বা ইসলামের দিকে আহ্বান। আমি বিশ বছর আগে স্লোগান দিয়েছিলাম জবধফ, জবধফ, জবধফ, ডৎরঃব, ডৎরঃব, ডৎরঃব অহফ উধধিয, উধধিয, উধধিয. অর্থাৎ আমি স্লোগান দিয়েছিলাম সব কর্মীর জন্য পড়ুন, পড়ুন, পড়ুন, লিখুন, লিখুন, লিখুন এবং দাওয়াত দিন, দাওয়াত দিন, দাওয়াত দিন। আমার মনে পড়ে এ স্লোগানটি আমি লন্ডনের কর্মীদের বিশ-পঁচিশ বছর আগে দিয়েছিলাম।
আরেকটি বিষয় সমাজকে সঠিক পথে রাখার জন্য প্রয়োজন। সেটি হচ্ছে কুরআনের ভাষায় আমর বিল মারুফ ওয়া নাহি আনিল মুনকার। সমাজ যাতে সঠিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে, সেজন্য এটা জরুরি। সৎকাজের আদেশ এবং মন্দ কাজের নিষেধ সবসময় চালু থাকতে হবে। সমাজের অধিকাংশ লোক যদি এ কাজটি করে, তাহলে সমাজ কখনো বেশি খারাপ হতে পারবে না। কুরআন মোতাবেক আমর বিল মারুফ ওয়া নাহি আনিল মুনকার সবার ওপর ফরজ। এখন আমি দাওয়াতের ....বিস্তারিত

যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো এবং ইসরাইলের গণহত্যা

॥ এডভোকেট সাবিকুন্নাহার মুন্নী ॥
ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্য বানাতে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রদান আবারো প্রমাণ করলো, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের গণহত্যা কার্যক্রমের প্রধান মদদদাতা যুক্তরাষ্ট্র! ফিলিস্তিনকে এবারও জাতিসংঘের সদস্য হতে দিল না যুক্তরাষ্ট্র।
জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের আবেদনের ওপর নিরাপত্তা পরিষদে ভোটের আয়োজন করা হয়েছিল গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার। ২০১১ সালে প্রথম এ আবেদন করা হয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়ে বার বারই এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে। গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযানের মধ্যে এপ্রিলের শুরুতে ফিলিস্তিনিরা সদস্যপদ পাওয়ার আবেদনটি পুনরুজ্জীবিত করে।
ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তবে তাদের এ আর্জি প্রথমে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন পেতে হবে এবং তারপর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এর পক্ষে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন লাগবে। পূর্ণ সদস্য না হলেও ফিলিস্তিন ২০১২ সালে জাতিসংঘে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পেয়েছে।
কূটনীতিকরা জানান, ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ স্থানীয় সময় ১৯ এপ্রিল বিকাল ৩টার দিকে খসড়া প্রস্তাব নিয়ে ভোট অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ প্রস্তাবে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে স্বীকার করে নেয়া হোক।’
নিরাপত্তা ....বিস্তারিত

আবদুল হালীম খাঁ-এর কবিতা

দেশ এখন নেই দেশে

আমাদের দেশ এখন নেই আমাদের দেশে
জানি না কোথায় কেমনে কবে গিয়েছে ভেসে।
খুঁজছি পথে-ঘাটে খুঁজছি শহর ও গাঁয়
কেউ বলতে পারে না দেশ গিয়েছে কোথায়।
কোথায় সেই মিলের শ্রমিক মাঠের চাষি
যাদের মুখে আগে শুনেছি গান দেখেছি হাসি।
কোথায় গেল সেই গর্বের সোনালি আঁশ
চাষিরা করে না কেন পেঁয়াজ-রসুন চাষ!
কোথায় গেল আমাদের সেই মিলকারখানা
কোন নব্য বর্গী এসে দেশে দিয়েছে হানা!
আমাদের ছেলেরা এখন পায় না দেশে কাজ
বিদেশিরা ওলট-পালট করছে দেশ আজ।
পথে পথে ভাসছে লাখো ভাসমান বেকার
সবার পেটে ক্ষুধা সবার মুখে হাহাকার।
বলতে পারি না এখন আমাদের কথা
কী চাই কী চাই না আর কী মনের ব্যথা।
দেশের কথা কারো কাছে যায় না বলা
সবার মুখে তালা আর বুকে দুঃখ দলা দলা।
পথে যায় না হাঁটা বুকে এসে লাগে গুলি
কারো ভাঙে ঠ্যাঙ কারো উড়ে যায় মাথার খুলি।
দেশ এখন নেই সে দেশ, দেশ হয়েছে কারাগার
প্রতিদিন দেশ হয়ে যাচ্ছে বিদেশে পাচার।
লড়তে পারি না আছি পায়ে ডান্ডাবেড়ি পরে
লাজে ইচ্ছে করে এক্ষুনি জলে ডুবে যাই মরে।
মানুষ নামের ফানুস আছে তো পালে পালে
সবাই ভেড়ার মতো নাচছে তালে বেতালে।
ছাগলেও চাটছে দেখছি বাঘের গাল
ব্যাঙ গাইছে গান- এই তো সেই কলিকাল।
আগুনে অন্তর পুড়ে ছাই হচ্ছে যেন ধূপ
ভাইবোনেরা, কতকাল থাকবে এমনি চুপ!
রাস্তায় নেমে এসো এবার একটা কিছু করি
এসো না বাঁচার জন্য আর একবার মরি!


....বিস্তারিত

শরীফ আবদুল গোফরানের গান

আল্লাহ তুমি সৃজিলে যে

আল্লাহ তুমি সৃজিলে যে
কত ভালোবেসে
স্বাধীন সবুজ ফসল ভরা
সোনার বাংলাদেশে॥

মাঠে ফলে সোনার ফসল
কিষান হৃদে বাজে মাদল
সবুজ শ্যামল শস্য ভরা
ফুলের বাগে হাসে।
সোনার বাংলাদেশে॥

সাগর নদী পাহাড় চূড়া
নেই তো কোথাও তারই জোড়া
রং-বেরঙের পালের নৌকা
যায় যে ভেসে ভেসে।
সোনার বাংলাদেশে॥

তোমার সৃষ্টি আকাশজুড়ে
কত রঙের পাখি ওড়ে
ফুলের সুবাস পাখির গানে
মন মাতে আবেশে।
সোনার বাংলাদেশে॥


....বিস্তারিত

শাহীন আরা আনওয়ারী-এর কবিতা

জীবনের রংতুলি

জীবনের স্মৃতিরা
ঘুরেফিরে আসে।
ভালোবেসে পিছু ডাকে
উঁকি দেয় ফাঁকে।
হৃদয়ের সূর্যটা
 রোদ মেঘের ঘনঘটা।
সুখ দুঃখের ঝুঁলি নিয়েই
সাজে এই মন।
স্মৃতির তুলিতে  আঁকে
রঙিন জীবন।


....বিস্তারিত

আহসান হাবিব বুলবুল-এর কবিতা

ফিলিস্তিনে রক্ত ঝরে

ফিলিস্তিনের আকাশে আজ বারুদের গন্ধ
ধোঁয়াচ্ছন্ন চারদিক
আল আকসার সবুজ জমিন রক্তনদী!
বোমার আঘাতে পাখির মতো শিশুরা মরছে
মায়ের গগনবিদারী চিৎকারে
সাত আসমান কাঁপছে!
উড়ে এসে জুড়ে বসা জায়নবাদীরা
আমার পবিত্র ভূমিকে গিলে খেতে চায়
গাজার গ্রামগুলো আজ মৃত্যুপুরী।
আমার মৃত্যু ঘিরে ওরা হাসে
ক্রুর হায়েনার হাসি।

হে মূসা, হে সোলায়মান, হে ইউসুফ (আ.)
তোমাদের স্মৃতিময় এই পুণ্যভূমি
হিংস্র কাফিরদের আগ্রাসনে ক্ষত-বিক্ষত!
হে আল্লাহ!
আর কত রক্ত ঝরবে পবিত্র মাটিতে
আর কত শাহাদাতের নাজরানা পেশ করতে হবে
আর কত পার করতে হবে
দুর্ভাগ্যের বিষাদ শর্বরী!
প্রভু হে! আমরা অসহায় রক্তাক্ত
ভাই বোনদের মুখের দিকে তাকাতে পারি না!
তুমি আবার আবাবিল পাঠাও
নীলনদকে ছাপিয়ে দাও,
মরুর বুকে বহিয়ে দাও সালসাবিল।
তোমার রহমতের চাদরে জড়িয়ে দাও
আমার প্রিয় ভূমি ফিলিস্তিন।
দিশা দাও, ভরসা দাও
জেগে উঠুক আবার বিশ্ব মুসলিম।


....বিস্তারিত

আবু তাহের বেলালের গীতি কবিতা-এর কবিতা

দাওয়াতি কাজ

দাওয়াতি কাজ হলো ফরজে আইন
সুমহান আল্লাহর বেঁধে দেয়া কাজ,
দাওয়াতী কাজে চাই নিবেদিতপ্রাণ-
ভুলে থেকে ব্যর্থতা দ্বিধা আর লাজ॥
ঘরে ঘরে কুরআনের প্রাণ জাগাতেই
রাসূলের নীতিপথে মন লাগাতেই,
দাওয়াতি কাজ করা চাই অবিরাম-
প্রতিদিন প্রতিক্ষণ সকাল ও সাঁঝ॥
দাওয়াতি কাজ ছিল নবী রাসূলের
মুহাজির আনসার সব সাহাবার,
সে কাজের বুঝে নিয়ে সবটুকু দায়-
যুগে যুগে হেঁটে গেল কত রাহাবার/
(হাসিমুখে নিল ফাঁসি কত রাহাবার)।
আল্লাহর কৃপা পাবো সেই আশাতেই
পড়বো না ভেঙে কেউ কোনো আঘাতেই,
প্রতিবাদ প্রতিরোধে সংকট সংঘাতে-
তৎপর থাকবোই যত জানবাজ॥

....বিস্তারিত

ইফফাত জাহান ইলমা-এর কবিতা

জায়নামাজ

জায়নামাজে দাঁড়িয়ে
রবের দিকে দু’হাত বাড়িয়ে
চেয়েছি কি কখনো নাজাতের পথ?
নাকি দুনিয়ার ঘোরে, হেরেমের সুখের (!) লোভে কিংবা
বাতিলের সাথে মত্ত থেকেছি প্রতিটি দিন প্রতিটি রাত?
কখনো কি তাকিয়েছি আরশে আজিমের দিকে?
চেয়েছি কি রহমত তাঁর থেকে?
অথচ সুনিশ্চিতভাবেই দিতে হবে তাঁর কাছে আমার
কাটানো প্রতিটি প্রহরের হিসাব!
তাই গাফফারের দিকে ফিরে আসাই একমাত্র পথ।


....বিস্তারিত

সুলতান মাহমুদ-এর কবিতা

নওজোয়ান

আমরা সত্যের পতাকাবাহী
আমরা উন্মত্ত ঘোড়ায় আরোহী
চলব ছুটে দিগন্ত
মাড়িয়ে জুলকারনাইনের মতো
করব তৈরি নতুন বাঁধ রুখব
ইয়াজুজ-মাজুজ যত।
আমরা জানি আমাদের শক্তি
এক আল্লাহ মহান
রুখব পাপী আর শয়তানের আস্ফালন।
আমাদের পানে তাকিয়ে অসহায় জনতা
রণসাজে রাঙিয়ে ভাঙবো নীরবতা।
আমাদের শত্রু শয়তান ও তার দোসর
দানবীয় মুশরিক, যায়নবাদী কাফির।
আমাদের সংখ্যা নিয়ে নয় কোনো শঙ্কা
বদরে, উহুদ তাঁবুকে  দেখেছি কত ডঙ্কা
আল্লাহর ওয়াদা সত্য তিনি
ফেরেশতা পাঠান
হিম্মত নিয়ে হও আগুয়ান
হে নওজোয়ান।


....বিস্তারিত

মুহাম্মদ ইসমাঈল-এর কবিতা

আমি ফিলিস্তিন থেকে বলছি

আমি ফিলিস্তিন থেকে বলছি
হ্যাঁ বলছি
আমার চারপাশে ধ্বংসস্তূপ
খোলা আকাশের নিচে তাঁবু টাঙিয়ে
আমাদের এখানে রোজা আছে
ইফতারি নেই।
তারাবি আছে
সাহরি নেই।
আমাদের উনুনে হাঁড়ি জ¦লে না।
আমার বাবার মুখে শুনেছি যুদ্ধের কথা
বাবা শুনেছে দাদার কাছে
আমি বর্তমান
১৯৪০ সাল থেকে আমাদের মাতৃভূমি
ফিরে পাওয়ার লড়াই।
আমাদের আল আকসা ফিরে পাওয়ার লড়াই।
আমাদের লড়াই চলবে
যতদিন না স্বাধীন হবো
তোমরা চুপ থাকো পৃথিবীর বিবেকবান
দুইশত কোটি মুসলমান।
তোমাদের ঈদ সমাগত
আমাদের এখানে ঈদ নেই
ভালো থেক পৃথিবীর সকল মুসলমান
আমি যাচ্ছি
দেখি কোথাও কোনো ঘাস পাই কিনা
অন্তত চিবিয়ে রসটুকু তো ....বিস্তারিত

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।